শিলং ও চেরাপুঞ্জির দর্শনীয় স্থান


 একদিনে মেঘালয়ের গুরত্বপীর্ণ দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে হলে প্রথমে শুরু করতে হবে শিলং-এর পুলিশ বাজার থেকে। পুলিশ বাজারে যে হোটেলেই থাকেন না কেনো, সকাল সকাল বেড়িয়ে পরতে হবে হোটেল থেকে। আর মেঘালয়ে ভ্রমনের জন্য শিলং আর চেরাপুঞ্জি-কে বেছে নিতে পারেন। কারণ মেঘালয় ভ্রমনের জন্য এই দুটি জেলাই আদর্শ। প্রথমেই একটি গাড়ি রিজার্ভ করে ঠিক করে নিন শিলং আর চেরাপুঞ্জির কোথায় কোথায় ঘুরবেন। আমরা মেঘালয় ভ্রমণ ট্রিপটি এভাবে সাজিয়েছিলাম-

প্রথমে শিলং এর সবচেয়ে সুন্দর লেক ‘উমাইয়াম লেক’ আর সবচেয় সুন্দর ঝর্ণা ‘এলিফ্যান্ট ফলস’ এর পর সোজা চেরাপুঞ্জির উদ্দেশ্যে যাত্রা। চেরাপুঞ্জির ট্রেডিশনাল নাম হলো- ‘সোরাহ’ । শিলং থেকে চেরাপুঞ্জিতে যাওয়ার পথেই দেখা মিলবে মাউকডক ভ্যালি। ভি সেপের এই ভ্যালিটি সত্যি অসাধারণ সুন্দর। এরপর যাত্রা শুরু করুন ‘মাউসমাই গুহা’ দেখতে। তাবে মাউসমাই যাওয়ার আগে আরো একটি ঝর্ণা দেখতে পাবেন। এটি হলো ওয়াকাবাহ ঝর্ণা। এটিও সুন্দর একটি ঝর্ণা। ওয়াকাবাহ ঝর্ণা আর মাউসমাই গুহা দেখে চলে যেতে হবে নোহকালিকাই ঝর্ণা। মেঘালয়ের মধ্যে এই নোকালিকাই ঝর্ণাটি হলো একটি আইকোনিক দর্শনীয় স্থান। মেঘালয়ে ঘুরতে আসা প্রাস সব পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। নোহকালিকায় ঝর্ণা দেখে সোজা চলে যাবেন সোরাহ ইকো পার্কে। এই ইকো পার্কটিও দর্শনীয় স্থান। এই পার্কের দক্ষিণ দিকে সেভেন সিস্টার ওয়াটারফলসের টপ পয়েন্টে যাওয়া যায়। বিকেলের মধ্যে সব ঘুরাঘুরি শেষ করে সোরাহ থেকে শিলং-এর পুলিশ বাজার চলে আসুন সন্ধ্যা-রাতের মধ্যে। শিলং-এর পুলিশ বাজারে সন্ধ্যা-রাতের পরিবেশ উপভোগ করুন। তারপর কিছু কেনাকাটা করে হোটেলে ফিরে যান নতুবা নতুন কোনো গন্তব্যে। আরো বিস্তারিত জানতে উপরের ভিডিও লিংকটিতে ক্লিক/ট্যাপ করুন।

Comments

Popular posts from this blog

দ্রুতযান এক্সপ্রেস | ঢাকা টু পঞ্চগড় ট্রেন | সময়সূচি ও ভাড়া

দেবতাখুম ভ্রমন। বান্দরবন

পুলিশ বাজার । শিলিং । মেঘালয় । ভারত