Posts

Showing posts from December, 2023

দেবতাখুম ভ্রমন। বান্দরবন

Image
  দেবতাখুম হলো বান্দরবন জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলার  একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত একটি আকর্ষনীয় জায়গা। এখানে দুইপাশে উঁচু পাহাড়ের মাঝ দিয়ে স্বচ্ছ পানির প্রবাহ  পর্যটকদের আকর্ষণ করে।  বান্দরবানের স্থানীয়দের মতে এটি প্রায় ৫০ ফুট গভীর এবং প্রায় ৬০০ ফুট দীর্ঘ।  এর কাছেই শীলবাঁধা ঝরনা। এই খুমের দুইপাশে রয়েছে বিশাল জঙ্গল। খাড়া পাহাড়ের কারণে খুমের ভিতর সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছায় না। তাই খুমের যত ভিতরে যাওয়া যায় ততই শীতল মনে হয়। জায়গাটি খুব শান্ত এবং কোলাহলমুক্ত। এর পানিও বেশ স্বচ্ছ। বাঁশের ভেলায় চেপে এই খুমের ভিতর যাওয়া পর্যটকদেরকে এক রোমাঞ্চকর অনুভূতি দেয়, যা যেকোন মানুষকে খুব সহজে প্রকৃতির প্রেমে আকৃষ্ট করবে।  কিভাবে যাবেন? বান্দরবান শহর থেকে প্রথমে রোয়াংছড়ি আসতে হবে। চাঁদের গাড়িতে অথবা সিএনজিতে। চাঁদের গাড়িতে একই সঙ্গে ১৪-১৫ জন ভ্রমন করা যায়। তারপর রোয়াংছড়ি পুলিশ স্টেশন থেকে রেজিস্ট্রেশন করে কচ্ছপতলী বাজার এসে লিরাগাঁও সেনানিবাসে অনুমতি নিতে হয়। সেখান থেকে ঘণ্টাখানেক ট্রেকিং করে শীলবাঁধা পাড়া যাওয়া যায়। শীলবাঁধা পাড়ার কাছেই দেবতাখুম। তবে দেব...

শিলং ও চেরাপুঞ্জির দর্শনীয় স্থান

Image
  একদিনে মেঘালয়ের গুরত্বপীর্ণ দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে হলে প্রথমে শুরু করতে হবে শিলং-এর পুলিশ বাজার থেকে। পুলিশ বাজারে যে হোটেলেই থাকেন না কেনো, সকাল সকাল বেড়িয়ে পরতে হবে হোটেল থেকে। আর মেঘালয়ে ভ্রমনের জন্য শিলং আর চেরাপুঞ্জি-কে বেছে নিতে পারেন। কারণ মেঘালয় ভ্রমনের জন্য এই দুটি জেলাই আদর্শ। প্রথমেই একটি গাড়ি রিজার্ভ করে ঠিক করে নিন শিলং আর চেরাপুঞ্জির কোথায় কোথায় ঘুরবেন। আমরা মেঘালয় ভ্রমণ ট্রিপটি এভাবে সাজিয়েছিলাম- প্রথমে শিলং এর সবচেয়ে সুন্দর লেক ‘উমাইয়াম লেক’ আর সবচেয় সুন্দর ঝর্ণা ‘এলিফ্যান্ট ফলস’ এর পর সোজা চেরাপুঞ্জির উদ্দেশ্যে যাত্রা। চেরাপুঞ্জির ট্রেডিশনাল নাম হলো- ‘সোরাহ’ । শিলং থেকে চেরাপুঞ্জিতে যাওয়ার পথেই দেখা মিলবে মাউকডক ভ্যালি। ভি সেপের এই ভ্যালিটি সত্যি অসাধারণ সুন্দর। এরপর যাত্রা শুরু করুন ‘মাউসমাই গুহা’ দেখতে। তাবে মাউসমাই যাওয়ার আগে আরো একটি ঝর্ণা দেখতে পাবেন। এটি হলো ওয়াকাবাহ ঝর্ণা। এটিও সুন্দর একটি ঝর্ণা। ওয়াকাবাহ ঝর্ণা আর মাউসমাই গুহা দেখে চলে যেতে হবে নোহকালিকাই ঝর্ণা। মেঘালয়ের মধ্যে এই নোকালিকাই ঝর্ণাটি হলো একটি আইকোনিক দর্শনীয় স্থান। মেঘালয়ে ঘুরতে আসা প্রাস...

শিলিগুড়ি থেকে শিলং ভ্রমন | কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন ও লোকল বাস

Image
শিলং হলো মেঘালয়ের রাজধানী । ভ্রমণপ্রিয় মানুষের জন্য একটি জনপ্রিয় স্থান। সহজেই শিলং-এ ভ্রমনের জন্য নিচের তথ্যগুলো জেনে নিতে পারেন।  ১ম ধাপ- শিলিগুড়ি শহর থেকে যেকোনো লোকল যানবাহনে প্রথমে যেতে হবে নিউ জলপাগুড়ি রেলস্টেশন। নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশনে সন্ধ্যার মধ্যে যাওয়াই ভালো। সন্ধ্যার পর থেকে বেশ কিছু ট্রেন ছেড়ে চলে যায় গুয়াহাটি পর্যন্ত। আবার সন্ধ্যায় বা রাতে ট্রেনে চড়তে পারলে ভোর হওয়ার আগেই গুয়াহাটি পৌছানো যায়। ভোর নাগাদ পৌঁছাতে পারলে সহজেই সকাল সকাল শিলং যাওয়া যায়। ২য় ধাপ- নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে যেকোনো ট্রেনে যেতে হবে গুয়াহাটি। নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে রাতের মধ্যে ট্রেনে উঠতে পারলে ভালো। এতেকোরে ভোরঅব্দি গুয়াহাটিতে পৌঁছানো সম্ভব। সন্ধ্যা ৭.৩০ থেকে রাত ১১.০০ টা পর্যন্ত বেশ কিছু ট্রেন গুয়াহাটি যায়। এগুলোর মধ্যে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেন বেস্ট। কারণ হলো ভোর ৫.০০টার মধ্যে এই ট্রেন গুয়াহাটিতে নামিয়ে দেয়। রাত ৮.৩০ টায় নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে ছাড়ে এই ট্রেন। ৩য় ধাপ- ভোর হতেই গুয়াহাটি রেলস্টেশনে পৌঁছনোর পর প্লাটফরমে ১০-১৫ অপেক্ষা করুন। এরপর ফ্লাইওভার দিয়ে দক্ষিণ দিক দিয়ে বেড়ি...

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ ও ছেঁড়া দ্বীপ | সমুদ্র ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশের আদর্শ জায়গা

Image
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের উত্তর - পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ। এটি বংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফের জেটি হতে প্রায় ৯ কিমি দক্ষিণে বঙ্গপসাগরের মধ্যে অবস্থিত। এই দ্বীপে প্রচুর নারিকেল গাছ দেখতে পাওয়া যায় বলে স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সমুদ্রপ্রেমীদের কাছে এটি ব্যাপক পরিচিত একটি নাম। বাংলাদেশের বিখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর বিভন্নি সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে এই দ্বীপটির পরিচিতি আরো বেড়ে যায়। সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপের তিন দিকে প্রচুর প্রবাল ও শিলা দেখতে পাওয়া যায় , যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময়জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০ - ১৫ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫ . ৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব , দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত ...

দ্রুতযান এক্সপ্রেস | ঢাকা টু পঞ্চগড় ট্রেন | সময়সূচি ও ভাড়া

Image
 দ্রুতযান এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা এবং উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মধ্যে চলাচল করে। এটি বাংলাদেশের দ্রুততম ট্রেনগুলির মধ্যে একটি।   সময়সূচী :  এই ট্রেন পঞ্চগড় রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭:২০ টায় ছেড়ে সন্ধ্যা ৬.৫৫ টায় ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায়। অন্যদিকে,  ঢাকা থেকে রাত ৮ টায় ছেড়ে ভোর ৬.৪৫ টায় পঞ্চগড় পৌঁছায়। ঢাকা থেকে পঞ্চগড় রুটে এই ট্রেন বিভিন্ন রেল স্টেশনে স্টপেজ দেয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকা বিমানবন্দর, জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, বঙ্গবন্ধু সেতু, জামতৈল, চাটমোহর, নাটোর, আত্রাই, সান্তাহার, আক্কেলপুর, জয়পুরহাট, পাঁচবিবি, বিরামপুর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর, চিরির বন্দর, দিনাজপুর, সেতাবগঞ্জ, পীরগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, রুহিয়া, কিসমত, পঞ্চগড়। ভাড়া:  দ্রুতোজান এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম খুব বেশি নয়। এতে অনেক ধরনের সিট ক্যাটাগরি রয়েছে সেগুলো হলো সোভন চেয়ার ৫৫০ টাকা, স্নিগ্ধা চেয়ার ১০৬০ টাকা, বার্থ সিট ১২৬০×৪ টাকা । আপনি এক ধরণের আসন বেছে নিতে পারেন এবং আপনার ভ্রমণ করতে পারেন। ট্রেনটি দেখতে উপরের ভিডিও লিংক ক্লিক করুন।

কেউক্রাডং | কেওক্রাডং | বাংলাদেশের পর্বত শৃঙ্গ

Image
কেওক্রাডং বা কেওকাড়াডং বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ। এটিকে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ধরা হতো। বর্তমান গবেষণায় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ হল তাজিংডং। কেওক্রাডং বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। শৃঙ্গের শীর্ষে সেনাবাহিনী কর্তৃক উৎকীর্ণ যে ফলক দেখা যায় তাতে এর উচ্চতা লেখা হয়েছে ৩,১৭২ ফুট। কেওক্রাডং শব্দটি মারমা ভাষা থেকে এসেছে। মারমা ভাষায় কেও মানে 'পাথর', কাড়া মানে 'পাহাড়' আর এবং ডং মানে 'সবচেয়ে উঁচু'। অর্থাৎ কেওক্রাডং মানে সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। কিভাবে যাবেন? বান্দরবান শহর থেকে যেকোনো চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করে প্রথমে যেতে হবে রুমা বাজার। বান্দরবন থেকে রুমা বাজার দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার। বান্দরবান থেকে রুমা পর্যন্ত বাস সার্ভিসও চালু আছে। ইচ্ছা করলে বাসেও যাওয়া যাবে। চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ ৬-৭ হাজার টাকা। একসঙ্গে ১৪ জন যাওয়া যায়। আর বাস ভাড়া ৬০ কিলোমিটার হিসাবে সরকারি রেট অনুযায়ী জনপ্রতি যা হয় তাই। রুমা বাজারে গিয়ে সেখানে রুমা পুলিশ স্টেশন থেকে একটি ট্যুরিস্ট ফরম সংগ্রহ করতে হবে। সেই ফরমে যাবতীয় তথ্য পূরণ করে রুমা বাজারের আর্ম...

পুলিশ বাজার । শিলিং । মেঘালয় । ভারত

Image
পুলিশ বাজার হলো ভারতের মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এর প্রাণকেন্দ্র। শিলং শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে সাতটি লিংক রোড এসে মিলিত হয়েছে পুলিশ বাজারে। লিংক রোডগুলোর এই মিলনস্থানকে সেন্ট্রাল পয়ন্ট  হিসেবে পরিচিত। মেঘালয়ে ঘুরতে আসা প্রায় সব পর্যটক এর আশেপাশের হোটেলগুলোতে অবস্থান করে। পুলিশ বাজার থেকে মেঘালয়ের বিভিন্ন জেলায় যাওয়ার আন্ত:জেলা বাস পাওয়া যায়। পুলিশ বাজারের জেল রোডেই সাথেই এমটিসি বাস স্টান্ড। সেখান থেকে যাবতীয় বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়াও পুলিশ বাজারের সেন্ট্রাল পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন রুটের শেয়ার গাড়ি ও ট্যাক্সি ভাড়ায় পাওয়া যায়। এখান থেকে রিজার্ভ গাড়িও ভাড়া পাওয়া যায়। পর্যটকরা জেল রোডের হোটেলগুলোতে থাকতে পছন্দ করে। এর কারণ হলো এই রোডেই সস্তায় সব কিছু পাওয়া যায়। এছাড়ও কুইন্টাল রোড ও জিএস রোড দুটিও পর্যটোকদের নিকট পছন্দ। এসব রোডের দুই ধারে বিভিন্ন হোটেল রেস্টুরেন্ট স্ট্রিট ফুড শপ শপিং মল ইত্যাদির কারণে সবসময় ভির জমে থাকে। আরা সন্ধ্যায় আড্ডা দেয়ার জন্য সেন্ট্রাল পয়েন্ট সবার প্রিয়। উপরের ভিডিও লিংটি দেখতে পারেন । #পুলিশবাজার #শিলং #মেঘালয় #policebazar #shillong #meghalaya police bazar shillong p...

সাঙ্গু নদী ও ঋজুক ঝর্ণা | বান্দরবন ভ্রমন

Image
বান্দরবনের এক অপরূপ নদীর নাম সাঙ্গু। আর এই নদীর মাঝে প্রায় ৩০০ ফুট উপর থেকে সারা বছর ঝিমঝিম শব্দে জলধারায় মুখরিত থাকে ঋজুক ঝর্ণা। এই ঝর্ণা দেখতে হলে যেতে হবে বান্দরবনের রুমা বাজারের নৌকা ঘাটে। সেখান থেকে সাঙ্গু নদীতে ৫ কিমি দক্ষিনদিকে এগুলেই দেখা মিলবে প্রকৃতির অপরূপ এই ঝর্ণা। সেই সাথে উপভোগ করা যাবে সাঙ্গু নদীর সৌন্দর্য্য। দুই পাশে পাহাড় আর সবুজ বনের মধ্য দিয়ে এগুতে থাকবে নৌকা। সময় লাগবে প্রায় ২০-২৫ মিনিটি। এরপর দেখা যাবে পাহাড়ের উপর থেকে ঝিমঝিম শব্দের জলপ্রপাত। এটাই ঋজুক ঝর্ণা। কিভাবে যাবেন? বান্দরবন শহর থেকে সোজা চলে যেতে হবে রুমা সদর উপজেলা বাজারে। চাঁদের গাড়ি রিজার্ভ করে যেতে পারেন। তবে বাস সার্ভিসও আছে। বান্দরবন থেকে রুমার দূরত্ব ৬৬ কিমি। সেই হিসেবে বাস ভাড়া। রুমা বাজারের পাশেই রুমা নৌকা ঘাট। সেখানে যেকোনো নৌকার মাঝির সাথে দর কষাকষি করে চলে যেতে পারবেন ঋজুক ঝর্ণায়। নৌকার ভাড়া যাওয়া-আসা এবং ঝর্ণায় ১-২ ঘান্টা অবস্থানসহ ১৫০০-২০০০ টাকা। তবে মনে রাখবেন, একটি নৌকায় ৫ জনের বেশি উঠবেন না। উপরের ভিডিও লিংকটি দেখতে পারেন।